--বিসমিল্লাহ খানী--
মোঘল আমলে ভারতের শিক্ষা ব্যবস্থা
কওমি কেয়ার কর্তৃক পরিচালিত স্মার্ট কওমি কিন্ডার গার্টেন এর সিলেবাস প্রণয়ন করার জন্য শিক্ষার বয়স নিয়ে একটু রিসার্চ করছিলাম। হঠাৎ একটি প্রতিবেদন চোখে পড়লো। খুবই ভালো লাগলো। আশাকরি অনেকের উপকারে আসবে।
“শিশুর ৪ বছর ৪ মাস ৪ দিন বয়স পূর্ণ হলেই “বিসমিল্লাহ খানী” পর্ব পালন করত অর্থাৎ
বিদ্যার্থী শিক্ষকের কাছ থেকে তার জীবনের প্রথম পাঠ গ্রহণ করত।৫
এদিন অনাড়ম্বর
অনুষ্ঠানেরও আয়োজন করা হত। শিশুকে গোসল করিয়ে পরিষ্কার কাপড় পরানো হত। হয়ত এ
উপলক্ষে নতুন পোশাক ক্সতরি করে দেয়া হত। স্থানীয় মসজিদের ইমাম বা আত্মীয়-স্বজনের
মধ্যে কোনো পূণ্যবান বা বয়োবৃদ্ধ লোক বা শিশুর জন্য মনোনীত শিক্ষককে অনুষ্ঠানের ভার
দেওয়া হত। শিশুর জীবনে এ দিনটি একটি স্বরণীয় দিন বলে গণ্য হত। মনোনীত ব্যক্তি শিশুকে
নিজের সামনে সাদরে বসাতেন। আত্মীয় হলে কোলে বসাতেন। তারপর বিসমিল্লাহ পড়ে
কুরআন শরীফ থেকে একটি নির্বাচিত আয়াত স্পষ্ট কন্ঠে ধীরে ধীরে পাঠ করতেন এবং শিশুকে
তা পুনরাবৃত্তি করতে শিক্ষা দিতেন। কোনো কোনো ক্ষেত্রে কাঠের ফলক বা দু’ একটি আরবী
হরফ খড়িমাটি দিয়ে লিখে শিশুর হাত ধরে তার ওপর হাত বুলানো হত। তারপর উপস্থিত
সকলে শিশু যেন ভবিষ্যতে বিদ্যায় ও চরিত্রে পরিবার এবং দেশের মুখোজ্জ্বল করতে পারে তার
জন্য দোয়া করতেন। কেউ কেউ শিশুর মুখে খৈ পুরে দিতেন, যাতে ভবিষ্যতে তার মুখ থেকে
জ্ঞান বাক্য খৈ-এর মতো ফোটে। সাধারণত মিষ্টিমুখ করে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘটত। অমুসলিম
সমাজে হাতে খড়ি নামে একটি অনুরূপ অনুষ্ঠান করা হত। আজকাল বিসমিল্লাহ খানীর অনুষ্ঠান
কদাচিৎ দেখা যায়।”
পুরো প্রতিবেদনটির PDF ফাইল কারো প্রয়োজন হলে ইনবক্স করুন।