শিক্ষা। জাতির মেরুদন্ড। সফলতার প্রথম সোপান। খোদার দেওয়া একটি অন্যতম শক্তি। সু-শিক্ষা যেমন একটি জাতিকে উন্নত আর শক্তিশালী করে ঠিক তেমনিভাবে সঠিক শিক্ষার অভাবে একটি জাতি হয়ে যেতে পারে পুরোপুরি ধ্বংস। এজন্যই, শিক্ষা প্রতিটি মানুষের মৌলিক অধিকার। জ্ঞানের সকল শাখায় সবাই সমান অংশিদার। জ্ঞানের কোন অংশ কারো জন্য বরাদ্ধ নয়।
আজ, মুসলিম শিরোনামে সকলে এক হওয়া সত্বেও শুধু শিক্ষা ব্যবস্থাকে কেন্দ্র করে মুসলমান আজ দুই ভাগে বিভক্ত। ধর্মীয় শিক্ষা ও সাধারণ শিক্ষা নামে দুটি শিক্ষা ব্যবস্থা দুটি ভিন্ন গন্তব্যের পানে ছুটে চলছে। যা কখনোই কাম্য ছিল না। যার অস্থিত্বও একটা সময় পর্যন্ত ছিল না। এভাবে ছুটে চলা একটি ব্যবস্থাতে কখনই পুরোপুরি সফলতা পাওয়া সম্ভব নয়। যা প্রতিটি মুসলমান আজ উপলব্ধি করতে পারছেন।
প্রতিটি মুসলমানের উভয় জগতে সফলতা অর্জনের লক্ষ্যে ও জ্ঞানের সকল শাখায় সবার সমতা রক্ষার উদ্দেশ্যে দুটি শিক্ষা ব্যবস্থার মধ্যস্থতায় স্থাপিত হয় একটি অত্যাধুনিক শিক্ষা প্ল্যাটফর্ম “কওমি কেয়ার” ।
পৃথিবী পরিবর্তনশীল। সুতরাং পৃথিবীতে অবস্থিত সকল কিছু সময়ের সাথে সাথে পরিবর্তন হয়। প্রতিটি বস্তুর রূপান্তর ঘটে নতুন একটি রূপে। সময়ের এই পালা বদলে সবাই নিজেকে পাল্টায়। যুগের চাহিদায় নিজেকে করে নেয় যুগোপযুগী। প্রয়োজনের তাগিদে মানুষ আজ চিঠি থেকে ই-মেইলে নিজেকে সপে দিয়েছে। কষ্ট লাঘব করতে মানুষ আজ সিড়ির পরিবর্তে লিফট ব্যবহার করছে। পরিবর্তনের এই ধারা প্রতিনিয়ত চলছে।
আলেম সমাজ হলেন যুগের নেতৃত্বদানকারী। তাই যুগ সচেতন হওয়া ও সমাজে বসবাসকারী মানুষের চাল-চলন ও রীতি-নীতি এবং এর যে কোন ধরণের সমস্যার সমাধান সম্পর্কে তাদের সম্যক জ্ঞান থাকা অপরিহার্য। প্রবাদ আছে,
من جهل بأهل زمانه فهو جاهل (شرح عقود رسم المفتى, ص:١٨١)
অর্থাৎ “যুগের রীতি-নীতি, আচার-ব্যবহার ও চাল-চলন সম্পর্কে যে জ্ঞাত নয়, সে মূর্খ”।
(শরহু উকূদি রসমিল মুফতী, পৃ. ১৮১)
অতএব, এখনই সময় পরিবর্তনের। নিজেকে আধুনিক যুগোপযুগী করার। কওমি অঙ্গনের সকল রিসোর্সের আধুনিকায়নে কাজ করে যাচ্ছে কওমি কেয়ার। কওমি ম্যানপাওয়ারকে যুগোপযোগী করার লক্ষ্যে কওমি কেয়ারের রয়েছে বর্তমান সময়ে আলোচিত অত্যাধুনিক প্রযুক্তির প্রতিটি বিষয়ের কোর্স নিয়ে গঠিত একটি সমৃদ্ধ “ট্রেনিং সেক্টর” এবং কওমি শিক্ষা উপকরণগুলোর ডিজিটাল সংস্করণের জন্য একটি “ডিজিটাল কন্টেন্ট বিভাগ” যাতে পাবেন পাঠ্যপুস্তকসহ ধর্মীয় অন্যান্য বইয়ের পিডিএফ, প্রেজেন্টেশন, অডিও-ভিডিওসহ সকল প্রকারের ডিজিটাল কন্টেন্ট।
আসুন! নিজেকেও একটু পরিবর্তন করি। যুগ সচেতন মুসলিম জাতি গঠনে ভূমিকা রাখি। কেননা আমরা সবাই জানি শিক্ষা জাতির মেরুদণ্ড। এই মেরুদণ্ড সোজা রাখতে শিক্ষকের ভূমিকাই সবচেয়ে বেশি।